December 22, 2024, 9:34 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
দেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাতারে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে দেখতে চান উপাচার্র্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। তিনি বলেন মাতৃসম এ প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করার অঙ্গীকার গ্রহণের দিন আজ। এজন্য নিজকে নিজেই সংশোধন করে আমরা যার-যার দায়িত্ব পালন করে যাবো।
৪৩তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক র্যালী ও সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় পতাকা ও বিশ^বিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনাসভা, কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী বর্ণিল আয়োজনের মধ্যদিয়ে সোমবার ৪৩তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
উপাচার্য বলেন জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের পাশাপাশি আমরা ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন করছি। এটা বাঙালি জাতিগোষ্ঠীর একজন সদস্য হিসেবে অত্যন্ত গর্বের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, করোনাকালেও ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় থমকে যায়নি। ভার্চুয়াল ক্লাসের পাশাপাশি সশরীরে পরীক্ষাসমূহও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দেড় বছরে ১২টি মাস্টার্স এবং ১৩টি অনার্স ব্যাচের চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে স্থাপিত ভাস্কর্যসমূহ নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের ইতিহাস ও চেতনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য অপিরহার্য। এখানে ব্যাপক অবকাঠামোগত নির্মাণ ও সম্প্রসারণ কাজ এগিয়ে চলেছে। আমরা শুধু পঠন-পাঠনে সীমাবদ্ধ নই। ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সম্প্রতি এই বিশ^বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এত অর্জনেও আমরা সন্তুষ্ট থাকতে চাই না। দেশের শ্রেষ্ঠ বিশ^বিদ্যালয়ের কাতারে আমরা ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়কে দেখতে চাই। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা আমারেকে ছাড়িয়ে যাও। অভিভাবক হিসেবে সেটাই হবে আমাদের জন্য গর্বের।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩০মিনিটে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা ও বিশ^বিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম এবং বিশ^বিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। এসময় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এবং রেজিস্ট্রার (ভারঃ) এর দায়িত্বরত উপ-রেজিস্ট্রার এ. টি. এম. এমদাদুল আলম তাঁর সাথে ছিলেন। প্রভোস্টগণ একই সময়ে স্ব-স্ব হলে জাতীয় পতাকা ও হল পতাকা উত্তোলন করেন।
পতাকা উত্তোলন শেষে শান্তির প্রতীক শাদা পায়রা ও আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম ৪৩তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার (ভারঃ)-এর উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ^বিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। র্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাংলা মঞ্চে এসে শেষ হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আসুন, আমরা ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়কে আপন করে ভাবতে শিখি। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্য হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে যেন আমরা ভাবি। সকলে মিলে উচ্চ মানসম্পন্ন ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়কে গড়ি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও চেতনা ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অপর বিশেষ অতিথি ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল অতীত আছে। অনেক শিক্ষার্থী রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সুশৃঙ্খলভাবে ও সততার সাথে সকলকে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত)-এর দায়িত্বরত উপ-রেজিস্ট্রার এ. টি. এম. এমদাদুল আলম আলোচনাসভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। সভাপতিত্ব করেন ৪৩তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ বাকী বিল্লাহ।
Leave a Reply